ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৯ এপ্রিল ২০১৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মনিরামপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ক পরিত্যক্ত,পাঠদান মাঠে

admin
এপ্রিল ৯, ২০১৫ ৩:৪৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

যশোরের মনিরামপুর উপজেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। গত ১৩ বছর ধরে বিদ্যালয়টির পাশের হার শতভাগ। অথচ বিদ্যালয়টির শিার্থীদের শ্রেণীকে বসে নির্বিঘেœ পাঠ গ্রহণের কোনো সুযোগ নেই। বিদ্যালয় ভবনের পলেস্তারা খসে পড়তে শুরু কয়েক বছর আগে থেকে। চার করে ভবনটি দুই বছর আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে ্িবদ্যালয় কর্তৃপ। যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে ভবনটি। তারপরও পাঠদান চলছে ওই ভবনটিতে। কখনো কখনো পাঠদান চলে বিদ্যালয়ের মাঠে।
সম্প্রতি পরিত্যক্ত ভবনের দুটি শ্রেণীকে দুটি শ্রেণীর এবং বিদ্যালয়ের মাঠে একটি শ্রেণীর শিার্থীদের পাঠদান করতে দেখা গেছে। শিকেরা জানান, কোনো উপায় না থাকায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণীকে শিার্থীদের পাঠদান করতে হচ্ছে। মাঝে মধ্যে বিদ্যালয়ের মাঠে চলে পাঠদান। প্রায় পাঁচ বছর ধরে এভাবে পাঠদান চলছে বলে তাঁরা জানান।24
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের মাঠের মধ্যে চলছে তৃতীয় শ্রেণীর পাঠদান। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর পাঠদান চলছে পরিত্যক্ত দুটি শ্রেণীক।ে যে দুটি শ্রেণীকে পাঠদান করা হচ্ছে তার ছাদ ভেঙ্গে পড়ছে। খসে পড়ছে দেয়ালের পলেস্তারা। ছাদের রড বের হয়ে গেছে। দেয়ালে অনেকগুলো বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র নাজমুস সাকিব বলে,‘খুব ভয় লাগে। কখন যে ছাদ ভেঙ্গে মাথায় পড়ে।’ চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী ঋতু খাতুন বলে,‘কাশে যতণ থাকি ভয়ে ভয়ে থাকি। ছাদ ভেঙ্গে পড়ার ভয়ে অনেক সময় লেখাপড়ায় মন বসাতে পারিনা।’ তৃতীয় শ্রেণীর মারুফা ইয়াসমিন ও মো: রানা বলে,‘কাশরুমে কাশ করার মতো অবস্থা নেই। তাই আমরা মাঠে কাশ করি। বৃষ্টির সময় খুব সমস্যা হয়।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক মেহেরুননেসা বলেন,‘পিএসসি পরীায় গত ১৩ বছরে বিদ্যালয়টির পাশের হার শতভাগ। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ২০০ ছাত্রছাত্রী রয়েছে। পাঠদান সম্পূর্ণ অনুপযোগী কে ঝুঁকি নিয়ে এবং বিদ্যালয়ের মাঠে পাঠদান করতে হচ্ছে। এসব কারণে বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। একটি ভবনের জন্য পাঁচ বছর ধরে কর্মকর্তাদের লিখছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।’ অভিভাবক ইউসুফ আলী বলেন,‘মাথায় ছাদ ভেঙ্গে পড়ার ভয়ে ছেলেকে স্কুলে পাঠিয়ে চরম উদ্বিগ্নে থাকি।’বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আবুল হোসেন বলেন,‘রানা পাজা ধসের পর বেশিরভাগ অভিভাবক তাঁদের ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন। মনিরামপুর উপজেলা প্রাথমিক শিা কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার সরদার বলেন,‘বিদ্যালয়টির অবস্থা খুবই খারাপ। বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেছি। আপাতত বিকল্প কিছু করা যায় কি না সেটাও ভেবে দেখা হচ্ছে। তা ছাড়া, বিদ্যালয়টি পুনর্নিমাণের জন্য তালিকাভুক্তির জন্য ব্যবস্থা দেওয়া হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।