ঢাকাশনিবার , ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দূরগ্রহে মিলেছে জলের দেখা

admin
সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৪ ৯:৫৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

মেঘমুক্ত খোলা আবহাওয়ায় দূর মহাকাশের এক গ্রহের গায়ে জলীয় বাষ্পের দেখা পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।নাসার তিনটি দূরবীক্ষণের লেন্সে চোখ রেখে ভিনগ্রহের এমন রাসায়নিক রূপ আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা।গ্রহটির নাম এইচএটি পি-১১বি। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব ১২৪ আলোকবর্ষ। অনন্ত মহাকাশের সুবিশাল দূরত্ব পরিমাপের জন্য জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আলোকবর্ষ এককটি ব্যবহার করে থাকেন। পৃথিবীতে আলোই সবচেয়ে বেশি গতিতে ছুটে চলে। সেকেন্ডে ত্রিশ কোটি মিটার। গতিটা বোঝানোর জন্য এই হিসেবটা প্রায়ই সামনে আনি- আলো এক সেকেন্ডে পৃথিবীকে সাত পাকে বেঁধে ফেলতে পারে। তো, এই গতিতে আলো এক বছর ধরে যে দূরত্ব অতিক্রম করে, তাকে এক আলোকবর্ষ বলে।তার মানে, যে দূরদেশী গ্রহটিতে জলীয় কণার সন্ধান মিলেছে, সেখানে পৌঁছতে আলোর রথেও বসে থাকতে হবে ১২৪ বছর।গ্রহটি আকারে পৃথিবীর চেয়ে চারগুণ বড়। বলতে পারেন, আমাদের সূর্যের চৌহদ্দিতে সবচেয়ে প্রান্তিক গ্রহ নেপচুনের সমান। এরকম দূরগ্রহে এবারই প্রথম জলের খোঁজ মিলল।প্রসঙ্গত, সৌরসীমানার বাইরে ১৯৯৫ সালে প্রথম বহির্জাগতিক গ্রহের সন্ধান মিলেছিল। এই উনিশ বছরে আরও ১৯০০ মতো ভিনগ্রহ আবিষ্কৃত হয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট গ্রহটির আকার আমাদের মঙ্গল গ্রহের সমান। মানুষের একমাত্র আশ্রয়গ্রহ পৃথিবীর চেয়ে লালগ্রহ আকারে অর্ধেক।
এইচএটি পি-১১বি’র আগে যত সব দূরগ্রহে জলের সন্ধান মিলেছে, সেগুলো আকারে সূর্যের ‘দানবীয় সন্তান’ বৃহস্পতির মতো। বৃহস্পতি এতই বড় যে, এর মধ্যে ১৩২১টা পৃথিবী দিব্যি ধরে যাবে।এবং এই ধরনের দানবীয় দূরগ্রহেই এতদিন জলের দেখা পাওয়া গেছে। এইচএটি পি-১১বি তাই এখন পর্যন্ত ‘জলসমৃদ্ধ’ পুঁচকে ভিনগ্রহ।যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড ও চিলির ছয় বিজ্ঞানী এই গ্রহের ‘জলীয় খবর’ তুলে ধরেছেন নেচার জার্নালে। গবেষক দলে আছেন ভারতীয় এক তরুণ বিজ্ঞানীও। নাম নিক্কু মধুসুধন, বর্তমানে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। জীবনের জন্ম জলে প্রতিটি গ্রহই তার সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘোরে। এইচএটি পি-১১বি গ্রহ ঘোরে সিগনাস নক্ষত্রপুঞ্জের এক সূর্যকে কেন্দ্র করে। সূর্যের সাদা আলো যখন তার গায়ে এসে পড়ে, তখন কোন কোন রং কী কী অনুপাতে শোষণ করছে- নাসার টেলিস্কোপে সেটাই ধরার চেষ্টা করেছেন গবেষকরা। এজন্য তারা হাবল, স্পিটজার ও কেপলার টেলিস্কোপে চোখ রেখেছেন দিনের পর দিন। আর টেলিস্কোপের চোখে দেখেতে পাওয়া তথ্য-উপাত্তগুলোকে সমন্বয় করে বিজ্ঞানীরা একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র হাতে পেলেন। গ্রহটির বাতাসে ৯০ ভাগই হাইড্রোজেন। বলা বাহুল্য, এই হাইড্রোজেনের সঙ্গে অক্সিজেনের যোগে তৈরি হয় জল।হাইড্রোজেন বাদ দিলে বাকি ১০ ভাগ বাতাসে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতিও ধরা পড়েছে বিজ্ঞানীদের গবেষণা-চিত্রে। জীবনের সবচেয়ে অপরিহার্য উপাদান জল। যদিও এইচএটি পি-১১বি তার সূর্যের এত কাছ দিয়ে চক্কর খায় যে, গ্রহটি বেশ উত্তপ্ত। জল আসলে ওখানে তরল থাকতে পারে না। সুতরাং, সেখানে জীবনধারণ সম্ভব নয়।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।