ঢাকারবিবার , ২২ মার্চ ২০২০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জনপ্রিয় হচ্ছে মণিরামপুরের ই-পোস্ট সেন্টার : উদ্যোগতাদের ভাগ্য বদলের সম্ভাবনা

Tito
মার্চ ২২, ২০২০ ৬:৪৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

তাজাম্মূল হুসাইন, মণিরামপুর থেকে॥
দেশের ডাকঘরগুলোর আধুনিকায়ন, উন্নয়ন ও ইমেজ বৃদ্ধিতে একাধিক উদ্যোগ বা প্রকল্প গ্রহণ করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। ডাকঘরগুলোকে জনপ্রিয় করতে চালু করেছে পোস্ট ই-সেন্টার। ডিজিটাল সেবার আওতায় আনা হয়েছে মণিরামপুর উপজেলার সকল পোস্ট অফিসের কার্যক্রম। কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে এক সময় গ্রাহকরা গুরুত্বপূর্ণ এসব প্রতিষ্ঠান থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় ঝিমিয়ে পড়েছিল পোস্ট অফিসের সকল কার্যক্রম।
২০১০ সাল থেকে ডিজিটাল সেবা কার্যক্রম চালু হওয়ার পর ফের ফিরে পেয়েছে প্রাণ। এরই অংশ হিসেবে সরকারি সহযোগিতায় ব্যবসা করে নিজেদের ভাগ্য বদলাতে যুক্ত হয়েছেন মণিরামপুরের ২৪জন উদ্যোক্তা। এতে একদিকে যেমন ডাকঘরের প্রাণ ফিরেছে তেমন অনেকের ভাগ্যবদল হয়েছে।
মণিরামপুর উপজেলা ১৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। ৬ লক্ষাধিক জনসংখ্যা অধ্যুষিত এই জনপদে নানা ধর্ম-বর্ণ শ্রেণী পেশার মানুষের বসবাস। এ উপজেলা পর্যায়ে সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- মণিরামপুর ইউপি ও ডিজিটাল পোস্ট অফিস, মাছনা ডিজিটাল পোস্ট অফিস, চিনাটোলো ডিজিটাল পোস্ট অফিস, জয়পুর ডিজিটাল পোস্ট অফিস, আ¤্রঝুটা ডিজিটাল পোস্ট অফিস, চালকিডাঙ্গা ডিজিটাল পোস্ট অফিস, চন্ডিপুর ডিজিটাল পোস্ট অফিস, হেলাঞ্চি ডিজিটাল পোস্ট অফিস, খানপুর ডিজিটাল পোস্ট অফিস, খাটুয়াডাঙ্গা ডিজিটাল পোস্ট অফিস, লাউড়ী ডিজিটাল পোস্ট অফিস, মধুপুর বাজার ডিজিটাল পোস্ট অফিস, মনোহরপুর ডিজিটাল পোস্ট অফিস, নেহালপুর ডিজিটাল পোস্ট অফিস, নেংগুড়াহাট ডিজিটাল পোস্ট অফিস, পাঁচাকড়ি ডিজিটাল পোস্ট অফিস, পোড়াডাঙ্গা ডিজিটাল পোস্ট অফিস, রাজগঞ্জ ডিজিটাল পোস্ট অফিস, কোনাকোলা ডিজিটাল পোস্ট অফিস, টেংরামারী ডিজিটাল পোস্ট অফিস, কাশিপুর ডিজিটাল পোস্ট অফিস, বাকোশপোল ডিজিটাল পোস্ট অফিস, বোয়ালিয়াঘাট ডিজিটাল পোস্ট অফিস ও কাটাখালী ডিজিটাল পোস্ট অফিস। এসব সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রতিষ্ঠান হলো মাছনা ডিজিটাল পোস্ট অফিস। জনসাধারণ মানুষদের সেবা প্রদানের জন্য দিন রাত কাজ করছেন উদ্যোক্তা মুর্তোজা ইলিয়াস।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার দেশে ডিজিটাল ব্যবস্থা প্রবর্তন করায় সরকারি সেবা প্রদানকারী বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান অনলাইন সেবার আওতায় এসেছে। পোস্ট অফিসের কার্যক্রমেও ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হয়েছে। দ্রুত সেবা পাওয়ার লক্ষে পোস্ট অফিসের সাধারণ গ্রাহকরা ঝুঁকে পড়েছিলেন অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের দিকে। সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ন্যায় ২০১০ সালে পোস্ট অফিসের সেবা কার্যক্রমও অনলাইন সেবার আওতায় আনা হয়। স্থাপন করা হয় ই-সেন্টার ও অন্যান্য সেবা প্রদান করা হয় অনলাইনের মাধ্যমে। ই-সেন্টারের মাধ্যমে অষ্টম শ্রেণি পাস থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ শিক্ষিত বেকার যুবদের ৩ মাস ও ৬ মাস মেয়াদী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে প্রদান করা হয় সনদপত্র। এর মাধ্যমে আত্ম কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে শতশত শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীর। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গ্রাহকরা কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন বিশ্বের যেকোন দেশে। চাকরি থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ এবং পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রদান করা হয় ই-সেন্টারের মাধ্যমে। ২০১৭ সালে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও এর কার্যক্রম চলমান রেখেছেন পোস্ট অফিস কর্তৃপক্ষ। আছে অনলাইন সেবা কার্যক্রম।
সেবা গ্রহণকারী অনামিকা মন্ডল জানান, অনলাইন সেবা কার্যক্রম চালু করায় আমরা এখন অতি সহজেই সেবা গ্রহণ করতে পারছি। এতে সময়ও সাশ্রয় হচ্ছে। অনামিকার মত প্রতিদিন শতশত গ্রাহকরা এ সেবা গ্রহণ করছেন।
মাছনা ডিজিটাল পোস্ট ই-সেন্টারের উদ্যোক্তা মুর্তোজা ইলিয়াস বলেন, এক সময় পোস্ট অফিসে গ্রাহকদের উপস্থিতি খুবই কম ছিল। এখন উপস্থিতি দেখলেই বোঝা যায় পোস্ট অফিসের কার্যক্রম কতটা গতিশীল হয়েছে। সাধারণ মানুষ কতটা পোস্ট অফিসের সেবা গ্রহণ করছে। তবে কর্তৃপক্ষ ও গ্রাহকদের দাবী, পর্যাপ্ত ডিজিটাল উপকরণ সরবরাহ, জনবল বৃদ্ধি ও গ্রাহকদের জন্য বসার সুব্যবস্থা করা গেলে পোস্ট অফিসের সেবার মান আরো অনেক বেশি গতিশীল হবে এবং সেবার মান বৃদ্ধি পাবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।