ঢাকারবিবার , ৮ মার্চ ২০১৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মণিরামপুর ভরতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় তুচ্ছ ঘটনায় শিক্ষকদের দু’গ্র“পের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ১০ ॥ আটক-৫

admin
মার্চ ৮, ২০১৫ ৮:৩৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

মণিরামপুরে ভরতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষকদের দু’গ্র“পের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বহিরাগত একদল সন্ত্রাসীর হামলায় ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। সোমবার বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫ শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসার পর মুছলেকায় তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। আটককৃত শিক্ষকরা হলেন, প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ, সহকারী প্রধান শিক্ষক গৌর চন্দ্র, সহকারী শিক্ষক বাহা-উদ্দীন, মনজুর ও জসীম উদ্দীন। এদিকে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ কPH-TEACHER copyরছে। প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ জানান, সরকারী বিধি মোতাবেক চলতি মাস থেকে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে। কিন্তু সোমবার সকালে কতিপয় শিক্ষক বিদ্যালয়ের চলমান কার্যক্রমের বিরোধীতা করে আগমন-প্রস্থানের সময় যথাক্রমে বাড়ানো ও কমানোর জন্য প্রধান শিক্ষককে চাপ দেয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক নিয়ম বহির্ভূত ভাবে কার্যক্রম চালাতে রাজি না হওয়ায় ওই শিক্ষকদের মধ্যে চাপাক্ষোভ বিরাজ করে। ঘটনার সূত্রপাত এখান থেকেই। সূত্র জানায়, স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর দুটি শাখার ক্লাস একটি বড় হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ক্লাস দু’টির মাঝে কোন পাটিশন না থাকায় ক্লাস চলাকালীন সময় ছাত্র-ছাত্রীরা গোলমাল হৈহুল্লাহ করে। এর ফলে শিক্ষকদের ক্লাস নিতে সমস্যা হয় বলে কতিপয় শিক্ষকদের দাবী। ওই অজুহাতে সহকারী শিক্ষক মনজুর ঘটনার দিন সকালে স্কুল চলাকালীন সময়ে বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে আলোচনা করতে গেলে প্রধান শিক্ষক বিষয়টিকে কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ। এতে মনজুর প্রধান শিক্ষক আ.হামিদের উপর চড়াও হয়। এসময় বাহাউদ্দীন নামের অপর শিক্ষক শিক্ষকের পক্ষ নিয়ে মনজুরের উপর চড়াও হয়। পরে আরেক সহকারী শিক্ষক জসিম উদ্দীন মনজুরের পক্ষ নিলে ওই সময় স্কুলের শিক্ষকরা দু’গ্র“পে ভাগ হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বহিরাগত সন্ত্রাসী আবু হুরায়রা ও মৃত আ.রহিম বক্সের পুত্র কামরুল ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসে শিক্ষকদের উপর হামলা চালায়। এসময় ওই স্কুলের কয়েকজন শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষ ঠেকাতে আসলে শিক্ষকদের পাশাপাশি উক্ত বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র শাকিল ও ৯ম শ্রেণীর ছাত্র সজিব এবং অভিভাবকসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবর আলী জানান, প্রধান শিক্ষক আ.হামিদের কারনেই এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম জানান, তুচ্ছ ঘটনায় এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার অবতারণা হয়েছে। জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, এ নিন্দনীয় ঘটনার সাথে জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনসহ বিদ্যালয়ে শৃংঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ নজরুল ইসলাম জানান, স্থানীয় কিছু সংকীর্ণমনা ব্যক্তিসহ স্কুলের কতিপয় শিক্ষক জড়িত। ওই স্কুলের কয়েকজন শিক্ষককে আটক করার পর বিষয়টি নিরসনে মুছলেকায় তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।