ঢাকাবুধবার , ১১ মার্চ ২০১৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নেহালপুরে এক ভুয়া ডাক্তারের অপচিকিৎসায় রোগীরা অতিষ্ঠ, বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল

admin
মার্চ ১১, ২০১৫ ৪:৪১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মণিরামপুরের নেহালপুরে এক
ভূয়া ডাক্তারের অপচিকিৎসার
বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় তথ্যবহুল
প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রশাসনের
বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ
করেছে ভূক্তভোগীরা। বুধবার
তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা,
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন
দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করে।
এদিকে ওই ভূয়া ডাক্তার নিজেকে রক্ষার
জন্য ক্ষতিগ্রস্থ ভূক্তভোগীদের
হুমকি ধামকী দেয়াসহ রাজনৈতিক আশ্রয়
খোঁজার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে।
উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়নের
বালিধা গ্রামের খোকন খাঁ এর পুত্র নজরুল
ইসলাম নিজ গ্রামে একাডেমিক
বা পেশাগত কোন সার্টিফিকেট ছাড়াই
চেম্বার খুলে ডাক্তারী করে থাকেন।
তার ভুল চিকিৎসার
কারণে রোগীরা ক্ষোভে তার
বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ওই
অভিযোগ করে। পত্রিকায় প্রতিবেদন
প্রকাশের তথ্য দেয়ার কারণে ওই
ভূয়া ডাক্তার গভীর রাতে রোগীদের
বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকী ধামকী দেয়া শুরু
করেছে। এছাড়াও
সে নিজেকে রক্ষা করার জন্য রাজনৈতিক
ও প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তরে দৌড়ঝাঁপ শুরু
করেছে। ভূক্তভোগীদের অনেকেই তার
ভাড়াটিয়া মস্তানদের
ভয়ে বাড়িতে থাকতে পারছে না।
তারা একের পর এক ওই ভূয়া ডাক্তাদের
বিরুদ্ধে অভিযোগ করে চলেছে। তাদের
মধ্যে বালিধা উত্তর পাড়ার আজিজ গাজীর
পুত্র সোহেল (২২)
মারা গেছে বলে এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন
রয়েছে। সোহেলের অভিভাবকরা জানায়,
তার পায়খানা বন্ধ হয়ে গেলে নজরুল
ডাক্তার সাবান গোলা ও
সোডা গোলা ইনজেকশনের মাধ্যমে তার
শরীরে পুশ করে। এর
ফলে উল্টো প্রতিক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয়। এ
ঘটনার পর সে কিছু দিন
গাঁ ঢাকা দিয়ে ফিরে এসে আবারও
অপচিকিৎসা শুরু করেছে। বালিধা গ্রামের
হাফিজুর ফকিরের স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম
(২৩) অভিযোগ করে বলেন এই ডাক্তারের
কাছ থেকে ডায়রিয়ার জন্য ঔষধ
খেয়ে সে মরনাপন্ন হয়ে পড়েছিল।
পরে প্রায় ১৫ হাজার টাকা ব্যয়
করে হাসপাতালের চিকিৎসার
মাধ্যমে সে সুস্থ হয়েছে। একই গ্রামের
আমিন গাজীর পুত্র শরিফুল ইসলাম (২৫)
বলেন নজরুল ডাক্তার তাকে মেয়াদ
উত্তীর্ন ঔষধ দিয়ে ক্ষতি করার
চেষ্টা করেছে। মৃত ফজর আলীর পুত্র জি এম
মোহাম্মাদ আলী অভিযোগ করেন
ঘাড়ে যন্ত্রনার জন্য নজরুল ডাক্তারের কাছ
থেকে ঔষধ খেয়ে সে আরো বেকায়দায়
পড়ে। পরবর্তীতে তাকে অন্য ডাক্তারের
কাছ থেকে ৮ হাজার টাকার খরচ করে ঔষধ
খেয়ে ভাল হতে হয়েছে। আহম্মাদ আলীর
স্ত্রী ফরিদা বেগম (২৫) গর্ভাবস্থায় এই
ডাক্তারের কাছ
থেকে চিকিৎসা নিয়ে অতিরিক্ত রক্ত
ক্ষরণে মরনাপন্ন হয়ে পড়ে।
পরে তাকে যশোর ২৫০
শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে কিছুটা সুস্থ
করা হয়েছে। এত অভিযোগের পরও ওই
ভূয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে কোন
ব্যবস্থা না নেয়ায় একালাবাসীর মধ্যে চরম
ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।