ঢাকাশুক্রবার , ৯ অক্টোবর ২০১৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মণিরামপুরে মাদ্রাসা শিক্ষিকাকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ

admin
অক্টোবর ৯, ২০১৫ ৩:১৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মণিরামপুর উপজেলার পল্লীতে হাজিরা বেগম (৩৫) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষিকাকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী পরিবারের বিরুদ্ধে। নিহতের দুই সন্তানের নামে এক বিঘা জমি ও নগদ ১ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্র“তিতে পুলিশ লাশের ময়না তদন্ত না করে আত্মহত্যার নাটকীয় প্রচারে দাফন করার অনুমোতি দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে গভীর রাতে উপজেলার মোবারকপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, যশোরের চৌগাছা উপজেলার নারানপুর গ্রামের সদর আলী বিশ্বাসের কন্যা হাজিরা বেগমের ১৫ বছর পূর্বে মণিরামপুর উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের হাসান আলীর পুত্র তরিকুল ইসলাম রাজার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে আসে রিয়া (১২) ও ইসমাইল (৭) বছর নামে দুই সন্তান। নিহত হাজিরা বেগম মণিরামপুর উপজেলার মশ্মিমনগর দাখিল মাদ্রাসার কম্পিউটার শিক্ষিকা ছিলেন। সূত্র জানায়, ঘটনার রাতে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী পরিবারের লোকজন হাজিরা বেগমকে কয়েক দফা মারপিট করে। ওই রাতেই তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর আত্মহত্যার প্রচার চালাতে ঘরের আড়াই ঝুলিয়ে রাখে। গতকাল শুক্রবার সকালে পার্শ্ববর্তী রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা খবর পেয়ে মোবারকপুর গ্রামে যায়। এরই মধ্যে নিহতের পিতা পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে ছুটে আসে ওই গ্রামে। নিহতের ভাই অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য জাহিদুল ইসলামসহ পরিবারের অন্যান্যরা প্রকাশ্যে বলতে থাকেন হাজিরা বেগমকে হত্যা করা হয়েছে। সে আত্মহত্যা করতে পারে না। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নিহতের পরিবারের সাথে স্বামী রাজা পরিবারের কয়েক দফা আলোচনা বৈঠক হয়। এক পর্যায় ঘাতক পরিবারের লোকজন নিহতের পরিবারকে জানায়, উক্ত ঘটনায় মামলা-মোকদ্দমা করলে উভয় পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হবে। পরে ঘাতক পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয় নিহতের দুই সন্তানের নামে এক বিঘা জমি ও নগদ এক লক্ষ টাকা প্রদান করা হবে। পুলিশের ঝামেলা, লাশ নিয়ে টানা-কাটা এমনটা এড়িয়ে থাকতে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করতে বিরত থাকেন নিহতের পরিবার। নিহতের স্বামী পরিবারের দাবী হাজিরা বেগমকে হত্যা করা হয়নি, সে আত্মহত্যা করেছে। রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ফরিদ উদ্দীন জানান, প্রথমে নিহতের পরিবারের মৌখিক অভিযোগ ছিল তাকে হত্যা করা হয়েছে। পরে বলা হয় বাড়তি ঝামেলাই যাবো না লাশ দাফনের ব্যবস্থা করতে হবে। সে কারণে লাশের ময়না তদন্ত না করে দাফনের অনুমতি দেয়া হয় বলে জানান এসআই ফরিদ উদ্দীন। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলার জন্য বারবার চেষ্টা করা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।