ঢাকাশুক্রবার , ১৬ আগস্ট ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সাতক্ষীরায় চাঁদাবাজি মামলার আসামীর সাথে ওসি’র ভূরিভোজ ।। পুলিশের ভাবমূর্তিতে জনমনে প্রশ্ন

Tito
আগস্ট ১৬, ২০১৯ ১০:০২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বিশেষ প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় পুলিশের বক্তব্যে পলাতক চাঁদাবাজি মামলার এজাহারভুক্ত আসামীর সাথে সদর থানার ওসি ভূরিভোজ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে গোটা দক্ষিণাঞ্চলসহ সোস্যাল মিডিয়াতে। এতে করে সাধারন মানুষের মাঝে পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, সাতক্ষীরায় একটি চাঁদাবাজি ও লুটপাটের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামী ইয়ারব হোসেনসহ তিনজনকে পুলিশ দেড়মাসেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। বৃহষ্পতিবার দুপুরে চাঁদাবাজি মামলার আসামী ইয়ারবের সঙ্গে তার আমন্ত্রনে সদর সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ও পুলিশ পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম ভুড়িভোজ জনমনে নানা প্রশ্নে জন্ম দিয়েছে।
ইয়ারবের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার বাদি সাতক্ষীরা সদর থানার ঝাউডাঙা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথরঘাটা গ্রামের আজাহারুল ইসলাম জানান, দাবিকৃত দু’লাখ টাকা না দেওয়ায় গত পহেলা জুলাই রাত দেড়টার দিকে তার বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। যে ঘটনার নেতৃত্ব দেন ১৯৯৪ সালে সাতক্ষীরা শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক এর প্রাচীর ভাঙচুর ও মুক্তিযোদ্ধা হাসান জাহিদ জজসহ কয়েকজনকে হামলার ঘটনার পর সমাবেশ থেকে পালিয়ে এসে আত্মরক্ষাকরী ইয়ারব হোসেন, কামরুল ও হেলাল হোসেনসহ কয়েকজন। তার দায়েরকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতের নির্দেশে গত ২ জুলাই থানায় মামলা হয়। এঘটনার পর থেকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে ১৫ জুলাই থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়। বিষয়টি মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা উপপরিদর্শক কবীর হোসেনকে জানালেও তিনি তা আমলে নেয়নি।
এ ছাড়া আসামীরা থানায় যেয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত বৈঠক করছেন। পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে ছবি নিজ ফেইসবুকে ছেড়ে দিয়ে ইয়ারব হোসেন প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে তিনি আইনের উর্দ্ধে। আর এই ছবি ফেসবুকে পোষ্ট করে বীরদর্পে কাউকে তোয়াক্কা না করেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় সাংসদ ও নেতৃবৃন্দের সাথে বিভিন্ন প্রোগ্রামে উপস্থিত থেকে নিজেকে জাহির করে চলেছেন।
এক সময় সীমান্তে চোরাঘাট মালিক, মাদক ব্যবসায়িদের কাছ থেকে ব্যাপক চাঁদাবাজি, তার অপছন্দের লোকজনদের জামায়াত শিবিরের নেতা কর্মী বানিয়ে পুলিশকে দিয়ে ধরিয়ে দেওয়া ও ছাড়িয়ে নেওয়া বাণিজ্য করে বর্তমানে কোটি পতি বনে যাওয়া ইয়ারব হোসেনের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশের সখ্যতা নিয়ে নির্যাতিতরা হতাশ হয়ে পড়েছে। আবারো ইয়ারব বাহিনীর হামলার আশঙ্কায় রয়েছেন তারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, সম্প্রতি বালিয়াডাঙার মসজিদের মধ্যে নামাজে দাঁড়ানো অবস্থায় আকবর হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা, কুচপুকুরে আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল হত্যার ঘটনায় প্রকৃত আসামীরা রয়ে গেছেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এরপর আবার ইয়ারব হোসেন চাঁদাবাজি মামলার আসামী হয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও পুলিশের সঙ্গে প্রকাশ্যে দহরম মহরম চালিয়ে যাচ্ছে। জনগনের দৃষ্টিভঙ্গি অন্যদিকে ঘোরাতে ইয়ারবকে কাফনের কাপড় নাটক সাজানোর বিষয়টি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার দ্বারা তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে ঘটনার রহস্য। শহরে বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটলেও পুলিশ তার কিনারা করতে পারছে না। ফলে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন পরিস্থিতি আসামী আটক না করে আসামীর সাথে ভূরিভোজ পুলিশের প্রতি জনসাধারনের কতটা আস্থার প্রতিফলন ঘটাবে তা নিয়ে শংশয় দেখা দিয়েছে। এব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোনটি ব্যস্ত পাওয়া যায়।
স্থানীয়দের দাবি অবিলম্ভে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী মামলার আসামীদের আটকপূর্বক বিতর্কতি পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।