হাবিবুর রহমান, রোহিতা থেকে।।
বয়স্ক, বিধবা, মাতৃত্বকালীন ভাতা ও ঘরসহ বিভিন্ন সরকারি সুবিধা পাইয়ে দেয়ার নামে জনগনের কাছ থেকে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীলীগ ও ইউপি সদস্য নিখিল দাসের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ২নং কাশিমনগর ইউনিয়ানের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যের বেলায়। সরেজমিনে জানা যায়, ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নিখিল দাস নিজের ওয়ার্ডে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের দেয়া বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কাজ করে আসছে। সেই সুযোগে অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের জন্য বয়স্ক, বিধবা, মাতৃত্বকালীন ভাতা সহ ঘর ব্যবস্থা করে দেয়ার নামে চাহিদার অতিরিক্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে কৌশলে ৬ থেকে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যারা বেশী অর্থ দেন তাদেরকেই শুধু ভাতার কার্ড করে দেয়া হয়। অন্যান্যদের কার্ড করে দিবে মর্মে ২/৩ বছর যাবৎ ঘুরালেও অদ্যবধি কার্ডের ব্যবস্থা করেনি । এদিকে ওই ইউপি সদস্যের কাছে কার্ডের অনুকুলে টাকা ফেরত চাইলে তারা নানা হুমকী ধামকীও দিয়ে আসছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। ইত্যা স্কুলপাড়া গ্রামের ভুক্তভোগী জিয়াউল ইসলাম,কালু হোসেন, ও হাবড়া পাড়ার আব্দুল করিম,ইত্যা দাসপাড়ার অসোখ দাস,গীতা রানী,তরুবালা সহ বেশ কয়েকজনকে ঘর,বিধবা ও বয়স্ক ভাতার সুবিধা পেতে ৬ থেকে ১০ হাজার টাকা, তবে গত ৩ বছরে ভাতার কার্ড বা কার্ডের অনুকুলে ইউপি সদস্যের গ্রহন করা টাকা ফেরত চাইলে ভুক্তভোগীদের নানা হুমকী-ধামকী দিয়ে আসছে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য । এ ঘটনার প্রতিকার চেয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার। এবিষয়ে নিখিল দাসের কাছে জানতে চাহলে তিনি জানান, আমি এই ধরনের কোন সরকারী ঘর দেয়ার নামে কারও কাছ থেকে টাকা নেয়নি। এ প্রসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আহাদ আলী বলেন, ইউপি সদস্য কার্ড ও ঘর দেয়ার নামে টাকা নিয়েছে কিনা আমি জানিনা। তবে এধরনের অভিযোগ কোন ব্যক্তিই আমার জানালে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
এ প্রসঙ্গে মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আহসান উল্লাহ শরিফী প্রতিবেদককে বলেন, সরকারি সুবিধা পাইতে ঘুষ দিতে হয়না, বিষয়টি আপনাদের কাছে জানতে পারলাম। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।