বিশেষ প্রতিনিধি।।
যশোরে পরিবহনের মধ্যে তরুণী গনধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত এমকে পরিবহনের হেলপার মনিরুল ইসলামকে আটক করেছে। সে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের ওহিদুল ইসলামের ছেলে। বর্তমানে মনিরুল যশোর সদর উপজেলার রামনগর গ্রামের ধোপাপাড়া এলাকায় শহিদুলের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
পুলিশ জানায়, বুধবার ( ৮অক্টোবর) বিকাল ৪ টায় রাজশাহী থেকে যশোরে আসার জন্য এমকে পরিবহনে ওঠেন মাগুরার শালিখা উপজেলার শতখালী এলাকার এক তরুণী। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে যশোরে পৌছে পূর্ব পরিচিত মনিরুলকে ফোন দিয়ে ডেকে নিয়ে আসেন ওই তরুনী।
ওই রাতেই মনিরুলের সাথে শহরের কোল্ড স্টোরে সামনে এমকে পরিবহনের ভিতরে অবস্থান করে তরুনী। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবার) রাত দেড়টার দিকে মনিরুল তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করে সে। এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীরা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ মনিরুলকে আটক করে।
এদিকে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী জানায়, বাসের এক হেলপার রাতে তাকে কোমল পানীয় খেতে দিলে তা খেয়ে সে অচেতন হয়ে পড়ে। গভীর রাতে চেতনা ফিরলে বুঝতে পারে সে গণ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাসের ড্রাইভার ও হেলপার তাকে ধর্ষণ করেছে।
যশোর কোতয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামান বাসের মধ্যে তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় বাসের হেলপার মনিরুলকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬জন পরিবহন শ্রমিককে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।