মণিরামপুর প্রতিনিধি।।
মণিরামপুরে মামার বিরুদ্ধে আপন ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ভাগ্নিকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ছয় মাস যাবত ধর্ষণ কের আসেছ বেল অভিযোগ পাওয়া উেঠছে। দা ধরে এবং রাতে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে মামা শফিকুল ইসলাম দীর্ঘিদন যাবত এ ঘটনা ঘটিয়ে আসছে বলে নির্যাতনের শিকার মেয়েটির অভিযোগ। উপজেলার দেবিদাসপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় তোড়পাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার ওই স্কুল ছাত্রী জানায়, তার মায়ের সাথে বাবার ডিভোর্স হওয়ার পর থেকে প্রায় ১০ বছর ধরে জীবিকার তাগিদে মা বাইরে থাকে। এরপর মায়ের পাঠানো টাকা দিয়ে দিয়ে মামার বাড়িতে তৈরীকৃত আলাদা ঘরে সে বসবাস করে আসছে। গত ৬ মাস থেকে সুযোগ পেলেই মামা শফিকুল ইসলাম ঘরে ঢুকে গলায় দা ধরে জোর করে তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। কাউকে বললে রাতে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয়াসহ তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেবার ভয় দেখানো হতো বলে জানায় নির্যাতিতা।
রোববার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ফের জোর করে পাশবিক নির্যাতন চালানোর সময় প্রতিবেশি এক নারী দেখে ফেলায় ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এদিন ভূক্তভোগি ওই ছাত্রী তার নিকটাত্বীয়সহ গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে তার উপর চালানো পাশবিক নির্যাতনের পুরো ঘটনা খুলে বলে।
শফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন মোল্যা জানান, মামা শফিকুল ইসলাম প্রায় তার ভাগ্নির উপর এমন পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে বলে তিনি শুনেছেন।
থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।