ঢাকাশনিবার , ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পাওনা ১৫ লাখ টাকা না দিতে খুন করা হয় স্বাস্থ্যকর্মী সাধনাকে’

Tito
ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২১ ২:৫৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মণিরামপুর (যশোর)প্রতিনিধি।।
পাওনা ১৫ লাখ টাকা না দিতে খুন করা হয় স্বাস্থ্যকর্মী সাধনাকে’মণিরামপুরে করোনা জয়ী স্বাস্থ্যকর্মী সাধনা রানী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাননি, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পাওনা ১৫ লাখ টাকা না দেয়ার জন্য দু’সহকর্মীসহ তিনজন পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু করে প্রচার করে। আদালতে দায়ের করা মামলায় এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
সাধনা রানী দাসের মেয়ে সাথী পাল তার মাকে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে গত ২ ফেব্রুয়ারি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শম্পা বসু বিষয়টি আমলে নিয়ে মণিরামপুর থানায় এ সংক্রান্ত কোনো মামলা হয়েছে কিনা সেই ব্যাপারে প্রতিবেদন জমা দিতে ওসিকে আদেশ দিয়েছেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, বাগেরহাটের শরণখোলার রাজাপুর গ্রামের মৃত কমলেশ চন্দ্র হালদারের স্ত্রী সাধনা রানী মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদে চাকরি করতেন। সেই সূত্রে সহকর্মী ইসমাইল হোসেন ও জাহিদ ২০১৮ সালে ব্যবসার কথা বলে সাধনার কাছ থেকে ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ধার নেন। ওই টাকা ইসমাইলের ভগ্নিপতি মিজানুর রহমানকে দেন। তিন মাসের মধ্যে ধারের টাকা পরিশোধ করার কথা থাকলেও মিজানুর না দিয়ে ঘোরাতে থাকেন।
পরে এসপি মিজান ধারের দু’ লাখ টাকা পরিশোধ করে বাকি টাকা দ্রুত পরিশোধ করবেন বলে অঙ্গীকারনামা করেন। কিন্তু, সেই টাকা না দেয়ার জন্য তারা সাধনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২০ সালের ৬ জুন ধারের টাকা দেয়ার কথা বলে জাহিদ মোটরসাইকেলে করে সাধনা রানীকে নিয়ে যান। এরপর তারা তিনজন মণিরামপুর-কেশবপুর সড়কের যে কোনো জায়গায় সাধনার মাথায় আঘাত করা হয়। পরে সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে প্রচার করেন তারা।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, খুনিরা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সাধনাকে যশোর কিংবা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে না নিয়ে মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে খুলনার গাজী মেডিকেলে ভর্তি করেন। মৃত্যুর পর তার পোস্টমর্টেমও করাতে দেন না তিনজন।
মামলার আসামিরা হলেন মণিরামপুর উপজেলার মুজগুন্নি গ্রামের মৃত ছামাদ বিশ্বাসের ছেলে প্রতারক মিজানুর রহমান, বাঙ্গালীপুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে ইসমাইল হোসেন ও চন্ডিপুর গ্রামের রজব আলীর ছেলে জাহিদ হোসেন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী সাথী পাল জানান, পাওনা টাকা না দেয়ার জন্য আসামিরা তার মাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।