ঢাকাশনিবার , ৩ এপ্রিল ২০২১
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মণিরামপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘু বৃদ্ধকে পিটিয়ে জখম

Tito
এপ্রিল ৩, ২০২১ ১:০০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মণিরামপুরে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ননী গোপাল মন্ডল (৭০) নামে সংখ্যালঘু এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করেছে এলাকার চিহ্নিত দূর্বৃত্তরা। উপজেলার হেলাঞ্চি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত ননী গোপাল যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এ বিষয়ে আহতের পুত্র স্বপন মন্ডল বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের।
এলাকাবসি ও অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উপজেলা খেদাপাড়া ইউনিয়নের হেলাঞ্চি গ্রামের ননী গোপাল মন্ডলের পুত্র স্বপন মন্ডলের (৪৫) পৈত্রিক জায়গা-জমি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য একই এলাকার দাউদ আলীর পুত্র হায়দার সরদার ও আকবর সরদার দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে অত্যাচার করে আসছে। তারই জের ধরে গত মঙ্গলবার বিকেলে স্বপন মন্ডলের নিজ জমিতে লাগানো সাঁজনা গাছ থেকে বিবাদীরা জোরপূর্বক সমস্ত সাঁজনা কেটে নিয়ে যায়। এ সময়ে স্বপন মন্ডলের পরিবারের সদস্যরা সাঁজনা কেটে নেয়ার কারণ জানতে চাইলে বিবাদী হায়দার সরদার ও আকবর সরদারসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা স্বপন মন্ডলের পরিবারের সদস্যদের বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়া মারাত্বক জখম করে। এ সময়ে এলাকাবাসি এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে আহতের চিকিৎসা হলেও স্বপনের পিতা ননী গোপাল মন্ডল অবস্থা সংকটাপূর্ণ হওয়ায় তাকে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে প্রেরণ করেন মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক। বর্তমানে তার অবস্থা সংকটপূর্ণ। যে কোন সময়ে তিনি মারা যেতে পারেন বলে জানিয়েছেন আহতের সজনেরা। কারণ প্রচন্ড প্রহরে তার পাজরের ও চোয়ালের হাড় ভেঙ্গে যাওয়াসহ প্রসাব-পায়খানা বন্ধ হয়ে গেছে। রুগির অবস্থা সংকটপূর্ণ বলে জানিয়েছেন সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এ ঘটনায় বৃহষ্পতিবার মণিরামপুর থানায় আহতের পুত্র স্বপন মন্ডল বাদী হয়ে হেলাঞ্চি গ্রামের দাউদ আলী সরদারের পুত্র হায়দার আলী সরদার (২৫) ও আকবর আলী সরদার (২৮), মৃত সলেমান সরদারের পুত্র দাউদ আলী সরদার (৫৫), দাউদ আলী সরদারের স্ত্রী মোছাম্মদ বেগম (৩৫) কে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
বাদী স্বপন মন্ডল বলেন, ‘বিবাদীগণ আমাদের উচ্ছেদ করে পৈত্রিক নিবাস দখল করার জন্য বিভিন্ন সময়ে আমাদের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। তারই জের ধরে ঘটনার দিন বিবাদীগণ আমাদের সাঁজনা গাছ থেকে সমস্ত সাঁজনা কেটে নিলে-তাতে বাধা দিলে আমাদের পরিবারের সবাইকে পিটিয়ে জখম করে।’
এ ঘটনায় বিবাদীর মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও-তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
মণিরামপুর থানার এসআই দীপক অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।