ঢাকাশুক্রবার , ১৪ নভেম্বর ২০১৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

যশোরের সাবেক সংসদ সদস্য খান টিপু সুলতানের পূত্রবধূর লাশ ঢাকায় তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে

admin
নভেম্বর ১৪, ২০১৪ ৭:২৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

শামারুফ মাহজাবিন কনা (২৪) আত্মহত্যা করেছেন বলে আওয়ামী লীগের এই নেতা দাবি করেছেন। তবে কনার পরিবার ও সহপাঠীদের সন্দেহ, এটি হত্যাকাণ্ড। কনা রাজধানীর হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে ইন্টার্নি শেষ করার পর বিএসএমএমইউতে এফসিপিএস ডিগ্রি নিতে ভর্তি হয়েছিলেন। যশোরের আইনজীবী টিপু সুলতানের বড় ছেলে হুমায়ুন সুলতানের সঙ্গে দুই বছর আগে কনার বিয়ে হয়। তারা ধানমণ্ডিতে টিপু সুলতানের বাড়িতে থাকতেন। ওই বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার বিকালে টিপু সুলতানের স্ত্রী জেসমিন আরা বেগম পুত্রবধূ কনাকে নিয়ে সেন্ট্রাল হাসপাতালে যান। জেসমিন হলি ফ্যামিলির গাইনি বিভাগের চিকিৎসক। টিপু সুলতান বলেন, বাসায় নিজের ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া কনাকে দরজা ভেঙে নামিয়ে সেন্ট্রাল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপমৃত্যুর ঘটনা হওয়ায় পুলিশও সেন্ট্রাল হাসপাতালে যায়। ঢাকা মহানগর পুলিশের ধানমণ্ডি জোনের সহকারী কমিশনার রেজাউল ইসলাম বলেন,সাবেক সংসদ সদস্যের পূত্রবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে তারা খবর পেয়েছেন। বুধবার একটি টেলিফোন কল নিয়ে কনার সঙ্গে তার স্বামীর ঝগড়া হওয়ার খবর জানতে পেয়েছেন বলেও এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান। “গতকাল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গণ্ডগোল হয়। এরপর আজ সকালে তারা দুজনে বাসা থেকে বের হয়। দুপুরে কনা বাসায় ফিরে কাজের বুয়াকে বলেছে, ‘আমার কাজ আছে’। এই বলে বেডরুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেয়।” “পরে দুপুরে খাবারের জন্য ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাথরুমে গ্রিলের জানালার সঙ্গে ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।” সন্ধ্যায় সেন্ট্রাল হাসপাতালে গিয়ে কনার সহপাঠী ও তার মামাকে দেখা গেলেও শ্বশুর বাড়ির কাউকে দেখা যায়নি। কনার বাবা যশোরের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম পিডব্লিওডির অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী, মা এক বছর আগে মারা গেছেন। কনা ছাড়াও তাদের এক ছেলে রয়েছে। কনার মামা শহীদুরের সন্দেহ, তার ভাগ্নীকে হত্যা করা হয়েছে। সহপাঠী ডালিয়া নওশীন বলেন, কনার পিঠে আঘাতের চিহ্ন দেখেছেন তারা। তাছাড়া আত্মহত্যা বলা হলেও গলায় ওড়নার ছাপ গভীর নয়। তখন সেন্ট্রাল হাসপাতালে উপস্থিত ঢাকা মেডিকেল কলেজের রমনা বিভাগের উপকমিশনার আব্দুল বাতেন এই অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “এটি আত্মহত্যা, না হত্যা- তা ময়নাতদন্ত হলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে। যশোর থেকে রওনা হয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে কনার বাবা নুরুল ইসলাম সেন্ট্রাল হাসপাতালে পৌঁছেন। তিনিও অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে। তিনি জানান, বিয়ের সময় তাদের জানানো হয়েছিলে যে হুমায়ুন ব্যারিস্টার, কিন্তু পরে তারা জানতে পারেন যে তাদের জামাতা ব্যারিস্টার নন। “সবই মেনে নিয়েছিলাম, তারপরও মেয়েটাকে মেরে ফেলল,” বলেই কেঁদে ফেলেন নুরুল ইসলাম। সেন্ট্রাল হাসপাতাল থেকে কনার লাশ ধানমণ্ডি থানায় নিয়েছে পুলিশ। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নেওয়ার কথা। তবে কনার পরিবার একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়না তদন্তের দাবি তুলেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করবেন, এরপর ময়নাতদন্ত নিয়ে কোনো আপত্তি থাকলে আদালতে কনার পরিবার প্রতিকার চাইতে পারবেন।

MP+Tupu+daughter

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।